Here you will find information about all the doctors in Bangladesh. Here you will find a list of all the doctors in Bangladesh. Special information for readers If you want to get information on any other topic, please comment below.
Dear doctors, if you want to change your information, please comment to speak in this e-mail. (deardoctors24@gmail.com)
- Doctors In Bangladesh.
- Best Doctors In Barisal.
- Specialist Doctors In Barisal.
- Medinova Medical Services Ltd. Girja Mahalla, Barisal
- Bell View Medical Services Pvt Ltd. Barisal
থাইরয়েড সমস্যাঃ সমুদ্রের পানিতে আয়োডিন থাকায় সামুদ্রিক মাছ মানুেষের খাদ্যে আয়োডিনের অন্যতম মূল উৎস। আয়োডিনযুক্ত খাবার খেলে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়। দেখা গেছে সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থিত এলাকা যেমন হিমালয়ের পাদদেশে নেপাল কিংবা বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে, মানুষের গলা ফোলা রোগ গলগন্ড বা গয়টার রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলে শিশুদের মানসিক বিকাশ বাধা পায়। ফলে গায়ের চামড়া খসখসে হয় ও চেহারা গোলাকার গোবেচারা আকারের মুখমন্ডল তৈরি হয়। আয়োডিনের অভাবে হরমোন এর উৎপাদন ব্যাহত হলে শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ কমে যায়। এই জন্য খাদ্য আয়োডিনযুক্ত লবন ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়। এছাড়া কলা, ফলমূল, কচু, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বহুমূত্র বা ডায়াবেটিসঃ অগ্নাশয়ের ভিতর আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস নামক এাক প্রকার গ্রন্থি আছে, এই গ্রন্থি থেকে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন হলো হলো এক প্রকার হরমোন যা দেহের শর্করা পরিপাক নিয়ন্ত্রন করে। অগ্নাশয়ে যদি প্রয়োজনমতো ইনসুলিন তৈরি না হয় তবে রক্তে শর্করার পরিমান স্থায়ীভাবে বেড়ে যায়, প্রস্রাবের সাথে গ্লুকোজ নির্গত হয়। এ অবস্থাকে বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে। ডায়াবেটিস দুই ধরনের হয়, যথা- টাইপ-১ ও টাইপ-২। টাইপ-১ এ আক্রান্ত রোগীর দেহে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তাই ইনজেকশনের মাধ্যনে ইনসুলিন নিতে হয়।
অন্যদিকে টাইপ-২ রোগীর দেহে আংশিকভাবে ইনসুলিন তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ঔষধ খেয়ে অগ্নাশয় কোষকে শরীরের জন্য পরিমিত ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। এ রেগটি সাধারনত বংশগত ও পরিবেশের প্রভাবে হয়ে থাকে। এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। রক্তে ও প্রসাবে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমানের চেয়ে বেড়ে গেলে এই রোগের লক্ষন প্রকাশ পায়। লক্ষনগুলো হলো ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, অধিক পিপাসা লাগা, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া সত্বেও দেহের ওজন কমতে থাকা, দুর্বলতা বোধ করা, চোখে কম দেখা, চমড়া খসখসে ও রূক্ষ হয়ে যাওয়া, ক্ষতস্থান সহজে না শুকানো ইত্যাদি।
আগে ধারনা করা হতো কেবলমাত্র বয়স্কদের এ রোগটি হয়। এ ধারনাটি সঠিক নয়। ছোট বড় সব বয়সীদের এ রোগ হতে পারে। তবে যারা কায়িক পরিশ্রম করেননা, দিনের বেশিরভাগ সময় বসে কাজ করেন অথবা অলস জীবন যাপন করেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া স্থুলকায় ব্যক্তিদের এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। বংশগতভাবে অনেক শিশুর দেহে ইনসুলিন উৎপাদন কম হয়, ফলে শিশুটি ইনসুলিন ঘাটতিজনিত অসুস্থতায় ভুগতে থাকে।
ডায়াবেটিস রোগ নির্নয় ও চিকিৎসাঃ রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা দ্বারা গ্লুকোজের মাত্রা নির্নয়ের মাধ্যমে এ রোগ নির্নয় করা যায়। চিকিৎসা দ্বারা ডায়াবেটিস রোগ একেবারে নিরাময় করা যায় না, কিন্তু এই রোগ নিয়ন্ত্রে রাখা যায়। ডাক্তারের মতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের জন্য তিনটি D মেনে চলা অত্যাবশ্যক। এগুলো হলো- Discipline, Diet ও Dose।
ক. শৃঙ্খলা (Discipline) ঃ একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্থা মহৌষধস্বরূপ। এছাড়া নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শমতো পরিমিত খাদ্য গ্রহন করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, রোগীর দেহের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও বিশেষভাবে পায়ের যত্ন নেওয়া, নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করা, দৈহিক কোনো জটিলতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
খ. খাদ্য নিয়ন্ত্রন (Diet) ঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের প্রধান উপায় হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রন করা, মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করা ও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সময়মতো খাদ্য গ্রহন করা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবারের মেনু অনুসরন করলে সুফল পাওয়া যায়।
গ. ঔষধ সেবন (Dose) ঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়। ডাক্তার রোগীর শারীরিক অবস্থা বুঝে ্ঔষধ খাওয়া বা ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী রোগীকে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠিকমতো চিকিৎসা না করা হলে রোগীর শ্বসন হার কমে যায়, পানি স্বল্পতার কারনে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায়। এতে রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে। অনেক সময় রোগীর হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে।
স্ট্রোকঃ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন হওয়াকে স্ট্রোক বলা হয়। এটি একটি মারাক্তক ব্যাধি। সাধারনত ধমনিগাত্র শক্ত হয়ে যাওয়া ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন হতে পারে। অনেক সময় অত্যধিক স্নায়ুবিক চাপ যেমন- উত্তেজনা বা অধিক পরিশ্রমের কারনে এরূপ রক্তক্ষরন হয়। মস্তিষ্কের যে কোনো ধমনিতে রক্তক্ষরন সম্ভব। নির্গত রক্ত মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন করে। রক্ত মস্তিষ্কের গহ্বরে ও মাথার খুলিতে ঢুকে গেলে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
রোগের লক্ষনঃ এই রোগের লক্ষন হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়। লক্ষনগুলো- বমি হয়, প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়, কয়েক মিনিটের মধ্যে রোগী সংজ্ঞা হারায়, ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে, মাংসপেশি শিথিল হয়ে যায়, শ্বসন ও নাড়ির স্পন্দন কমে যায়, মুখমন্ডল লাল বর্ন ধারন করে।
এই অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে এবং যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। উপযুক্ত চিকিৎসা করা হলে রোগী অনেক সময় বেঁচে যায়। রোগী যদি বেঁচে যায়, কয়েকদিন পর সে তার সংজ্ঞা ফিরে পায়। তবে রোগী কিছুটা ছটফট করে এবং আস্তে আস্তে অসার হয়ে যাওয়া অঙ্গে দৃঢ়তা ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরে এলে বাক নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে কথা জড়িয়ে যায়। পক্ষাঘাত বা অবশ হয়ে যাওয়া অঙ্গ (যেমন হাত) সংলগ্ন পেশি নড়াচড়ায় শক্তি ক্রমশ ফিরে আসে কিন্তু হাত দিয়ে সূক্ষ কাজ করার ক্ষমতা আর কোনোদিন ফিরে পায় না।
চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আরোগ্য লাভ দ্রুত হতে থাকে কিন্তু দুমাস পরে উন্নতি ক্রমশ কমে আসে। বিজ্ঞানিদের মতে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে শক্ত আঘাত বা রক্তপাতের ফলে এ রকম প্রতক্রিয়া দেখা দেয়। হঠাৎ আক্রমনে যে স্নায়ু সাময়িকভাবে কার্যক্ষমতা হারায়, সেগুলো দ্রুত আরোগ্য লাভ করে এবং কার্যক্ষমতা ফিরে পায়। আর যেসব স্নায়ু সম্পূ্র্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলোর কর্মক্ষমতা চিরতরে বিনষ্ট হয়ে যায়।
রোগ নির্নয় ও চিকিৎসাঃ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন বা রক্ত জমাট বেঁধেছে কিনা তা নির্নয় করে এই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই রোগটির সঠিক কারন অনেক সময় নির্নয় করা সম্ভব হয় না। মস্তিষ্কের রক্ত ক্ষরন বন্ধ করা সম্ভব নয়। রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করা, জ্ঞান ফিরে পাবার পর রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী সম্ভব হলে অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। রোগীকে উপর্যক্ত শুশ্রুষা, মলমূত্র ত্যাগের সুব্যবস্থা করা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, পথ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।
প্রয়োজনবোধে রোগীকে নলের সাহায্যে খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অবশ বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত অঙ্গ নড়াচড়া করানো দরকার, এতে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গের অস্থিসন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হয়। রোগীর জ্ঞান ফিরে এলে নিজ প্রচেষ্টায় নড়াচড়া করতে উৎসাহিত করা উচিত। স্ট্রোকের লক্ষন দেখা দেওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায়ঃ ধূমপান পরিহার করা, যারা উচ্চরক্ত চাপে ভুগছেন তাদের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা, যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের নিয়মিত ঔষধ সেবন করা, দুশ্চিন্তামুক্ত, সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করা।
0 Comments